
বৈশাখী সাহা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে শিশুরা আক্রান্ত হবে। সেই মতানুসারে আক্রান্ত শিশুদের সুষ্ঠ পরিষেবা দিতেই বারাসাত জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় ৪০ টি স্পেশাল শয্যা। একই সাথে লাইফ সেভিং ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলেই জানান হাসপাতালের সুপার।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড এবং অক্সিজেনের হাহাকার একই সাথে মৃত্যু মিছিল দেখে, বারাসাত জেলা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার গত একটি বৈঠকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বারাসাত জেলা হাসপাতালে যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৩০০টি বেড পূর্বেই ছিল, তার পাশাপাশি শিশুদের জন্য আরও স্পেশাল ৪০টি বেড যুক্ত করা হয়। এছাড়াও উন্নত পরিষেবা দেবার জন্য লাইফ সেভিং ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে হসপিটাল সূত্রে খবর। ফলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য বারাসাত জেলা হাসপাতাল সবদিক থেকে তৈরি বলেই জানান হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুপার জানান বারাসাত হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ৩০০টি বেড রাখা আছে। যেসব করোনা রোগী আসছেন ভর্তি হলে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। এর পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে বাচ্চাদের জন্য ৪০টা স্পেশাল বেডের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও আরও উন্নত পরিষেবা দেবার জন্য লাইফ সেভিং ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টা বারাসাতের সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবার পর-ই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। এদিন তিনি সকল মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, সবাই সতর্ক থাকুন। বারাসাত হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার নার্স থাকার পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় যে কোনও পরিস্থিতিতে জরুরী পরিষেবা দেবার মতো পরিকাঠামো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সহ বারাসাত জেলা হাসপাতালে তৈরি করা আছে। তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বারাসাত জেলা হাসপাতাল একেবারে প্রস্তুত বলেই জানান সুপার।