
‘নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): সাময়িক স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর গদি থেকে সরাতে বিরোধীরা যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল, তা এদিন পাক সংসদে খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই তিনি জানান যে, প্রেসিডেন্টের কাছে অধিবেশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব যাতে দেশবাসীর উপরই দেওয়া হয়, তার জন্য দ্রুত নির্বাচনের দাবিও করেছিলেন তিনি। সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল পাক সংসদ। সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।আজ, রবিবার পাকিস্তানের রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। কারণ আজই পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মতোই সংসদ অধিবেশন শুরু হলেও, ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন। তিনি জানান, এই অনাস্থা প্রস্তাব দেশের সংবিধান বিরুদ্ধ ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি তৈরি করছে। সেই কারণেই এই প্রস্তাব বাতিল করা হচ্ছে।জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইমরান দেশবাসীর কাছে ভোটের জন্য তৈরি হওয়ার আবেদন রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘবড়ানা নেহি হ্যায়।’’ আল্লাহ উপর থেকে পাকিস্তানের উপর নজর রেখে চলেছেন। তিনি দেখছেন, কী ভাবে তাঁর সরকার ফেলতে বিরোধীরা পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এর পরই ইমরানকে বলতে শোনা যায়, দেশবাসীই স্থির করুন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান।তিনি আরও বলেন, “সরকারের পতনের জন্য যে চক্রান্ত করা হচ্ছিল, তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কে থাকবেন, তা দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক। আপনারাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন, কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা বিদেশিরা নয়। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক পথেই দেশের শাসন চলুক। আপনারা নির্বাচনের জন্য় প্রস্তুত থাকুন। সংসদ ভেঙে দেওয়া হলেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হবে এবং ভারপ্রাপ্ত সরকার গঠন করা হবে।”প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ফারুক হাবিব জানান, আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নতুন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্রস্তাব মেনেই সংসদের দুই কক্ষই ভেঙে দেন।