নিজস্ব সংবাদদাতা সম্পা ঘোষ কলকাতা, ২০২৫: চিকিৎসা এবং শিল্প—দুই ভিন্ন জগতের অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটালেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডঃ সন্তু দে। সম্প্রতি এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘আর্ট রিসার্চার’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি, শিল্প ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে প্রদান করা হয় গৌরবময় আম্বেদকর জ্যোতি পুরস্কার।
ডঃ সন্তু দে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের আয়ুশ দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে আসছেন। দেশ ও বিদেশের বহু মানুষ তাঁর নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তাঁর অসামান্য চিকিৎসাসেবার জন্য তিনি স্থান পেয়েছেন লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
তবে চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁর আর এক পরিচয়, তিনি একজন ভারতীয় শিল্পকলার একনিষ্ঠ গবেষক। ২০২৩ সালে ডায়নামিক কলেজ অফ ফাইন আর্টস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি ভারতীয় শিল্পের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। মধ্যযুগ থেকে আধুনিকতার পরিসরে শিল্পভাস্কর্যের রূপান্তর, ভাষা ও ভাবপ্রকাশের বিবর্তন নিয়ে তাঁর গবেষণাকে সহায়তা করেন বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ক্লাবের বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ।
এই গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করার পর, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কলকাতায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্প জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। মঞ্চে ছিলেন বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ক্লাবের সভাপতি ডঃ সুরথ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট শিল্পী ননীগোপাল বিশ্বাস, সঞ্জয় সিংহসহ আরও অনেকে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০২২ সালের কলকাতা তিলোত্তমা শিরোপাজয়ী শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরী ও খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত সুভাষ সিংহ রায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডঃ দে অতিথিদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধিত করেন। পরে বিভিন্ন মানপত্র ও পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। গোটা অনুষ্ঠানজুড়ে এক গম্ভীর অথচ প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি হয়।
বিজ্ঞানমনস্কতা এবং সংস্কৃতিবোধের এক অসাধারণ যুগলবন্দির সাক্ষী হয়ে থাকল এই অনুষ্ঠান। চিকিৎসা ও শিল্পের এই অনন্য মেলবন্ধনের মাধ্যমে ডঃ সন্তু দে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সমাজে।