নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): যে কোন সময়েই আছড়ে পড়তে পারে করোনা ঢেউ, দেশবাসীকে এবার সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মোদী বলেন, ‘এখনও বিপদ যায় নি তাই আমাদের সতর্কতা মেনে চলতে হবে’। এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাসকে একটি ‘বহুমুখী রোগ’ হিসাবেও বর্ণনা করেন তিনি।করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ করোনা এক বড় বিপদ, আমরা এখনও বিশ্বাস করি না যে এই বিপদ চলে গেছে,কোথাও এটি লুকিয়ে রয়েছে।কখন এবং কোথায় আবার করোনা বিপদ দেখা দেবে তা আমাদের সকলের কাছে অজানা’।তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৮৫ কোটির বেশি কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে এটা সারা বিশ্বের কাছেই নজির। এটা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে’।শনিবারই গুজরাটে XE ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ Coronavirus দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন গুজরাটের এক ব্যক্তি। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর জানা যায় ওই ব্যক্তি কোভিডের XE ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর তার পরই মোদী এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।ওমিক্রনের চেয়েও কয়েকগুণে সংক্রামক ভাইরাসের হদিশ মিলেছে যুক্তরাজ্যে। নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘XE’। এযাবত্ যে কটি করোনা প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এই ভাইরাস জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই করোনায় কাবু এশিয়া-ইউরোপের একাধিক দেশ। তার মাঝেই নয়া স্ট্রেনের খবরে কপালে চিন্তার ভাঁজ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।তাদের অনেকের ধারণ অনেক দেশেই করোনা সংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করা হয়েছে ফলে নয়া স্ট্রেন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যে। আর এই নয়া স্ট্রেনের হাত ধরেই আসতে পারে পরবর্তী করোনা ঢেউ। BA’1 এবং BA.2 একসঙ্গে চরিত্র বদল করেই করোনার নয়া রূপ ‘XE’-র সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হু। সেই সঙ্গে হু এর তরফে জানান হয়েছে নয়া এই প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা বি.এ.২ প্রজাতির থেকেও ১০ গুণ বেশি।চলতি বছরের জানুয়ারিতে নয়া এই প্রজাতির সন্ধান মেলে। প্রথম এই প্রজাতির ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে ব্রিটেনে। ইতিমধ্যেই এই নয়া প্রজাতিতে প্রায় ৬০০ এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন মিউটেশনের ফলে একের পর এক চরিত্র বদল করবে করোনা ভাইরাস।ঠিক যেমন টা হয়েছে ডেল্টা, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। তবে তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা এটাও জানাচ্ছেন যত বেশি মিউটেশনের মাধ্যমে চরিত্র বদল করবে এই ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক হবে এই ভাইরাস তবে সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমবে এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা। XE ভেরিয়েন্টকে ‘রিকম্বিন্যান্ট’ ভাইরাস বলা হচ্ছে।