বৈশাখী সাহা, উত্তর ২৪পরগনাঃ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল বর্তমানে তা অনেকটাই কম, সে কারনেই করোনার তৃতীয় ঠেউ আসার পূর্বে মানুষকে আরও সচেতন করতে একই সাথে করোনা মোকাবিলার জন্য বনগাঁ হাসপাতালে যে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি করোনা সহ ডেঙ্গু বিষয়ক আলোচনা করার জন্য বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বনগাঁ হসপিটালে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়েও ওই প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হয়। মহকুমা শাসক প্রেম বিভাস কাঁসারি, বনগাঁর পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ সহ স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে এদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলার নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা প্রথম স্থানে থাকলেও বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও তৎপর জেলা প্রশাসন। বনগাঁ মহাকুমার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে করোনা ও ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। করোনার তৃতীয় ঠেউ আসার পূর্বে সংক্রমণ কিভাবে আরও কমানো যায় মুলত সে বিষয়েই আলোচনা হয়। একই সাথে মানুষের মধ্যে করোনার সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও সাহেবের দপ্তর, বাজার কমিটি মেম্বারদের দ্বারা করোনার সচেতনতা বার্তা, মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ, করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলা ছাড়াও হাসপাতালে রোগীদের সঠিক পরিষেবা দেবার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় এদিন।
বৈঠক শেষে বনগাঁ মহকুমা শাসক প্রেম বিভাস কাঁসারি বলেন,”ডেঙ্গুর আগাম সর্তকতা ও করোনা অতিমারির জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। করোনার তৃতীয় ঠেউ এর জন্য সকলকে অনুরোধ করবো অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেক নেমে যাওয়ার আগে একটু সমস্যা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সাথে পূর্বের প্রেসক্রিপশন অবশ্যই নিয়ে যাবেন যাতে ডাক্তারের সুবিধা হয় সঠিক চিকিৎসা করতে। ভ্যাক্সিনেশন-এর ক্ষেত্রে তিনি বলেন সব জায়গায় সুস্থভাবে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। যেমন ভ্যাক্সিন আসছে সেইমত সকলকে ভ্যাক্সিনেশন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি বলেন মানুষকে প্রচুর সচেতন হতে হবে।চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা,জল জমতে না দেওয়া। ডেঙ্গু মুক্ত কিভাবে রাখা যায় সে ব্যাপারে পৌরসভা সহ আমাদের সকল টিমদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে, তারা সঠিক ভাবেই কাজ করবেন এমনটাই জানালেন মহকুমা শাসক।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার রায় জানান ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি৷ গতবছর সেটা ৮০০তে নেমে এসেছে। এবছর তেমন আক্রান্তের সংখ্যা নেই বললেই চলে। আমরা চাই যাতে একজনও ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয়। পাশাপাশি বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা ২৫০ হলেও বর্তমানে ২৪ জন রোগী রয়েছে। বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ৫টা ভেন্টিলেটর সহ বাইপ্যাপ আছে৷ মানুষ আরও সচেতন হলে তবেই করোনা থেকে মুক্তি পাবে সবাই এমনটাই জানান এদিন তিনি।