ফালাকাটা ঃ প্রতিদিন সাইকেলে চেপে নবগঠিত ফালাকাটা পুরসভায় আসেন পুরসভার প্রথম পুর প্রধান প্রদীপ মুহুরি। পুরপ্রধান হয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে সাইকেল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পুরপ্রধান তথা প্রাক্তন অর্থনীতির শিক্ষক প্রদীপ মুহুরির স্পষ্ট জবাব, ”একেবারেই নতুন পুরসভা, কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। চেয়ারম্যানের পদে বসেই যদি গাড়ি হাঁকিয়ে ছুটতে শুরু করি, তখন পুরবাসী কী বলবেন? আমি তো শহরবাসীকে এখনও পর্যন্ত এক ফোঁটা পরিষেবা দিতে পারিনি।”পুরসভার আঠারোটি ওয়ার্ডে সাইকেলে চেপে মানুষের কাছে পৌঁছে যান তিনি। ফালাকাটা শহরের নেতাজী রোডই হোক বা অন্যান্য সরু রাস্তা সব অলিগলিতে সাইকেল নিয়ে অবাধ যাতায়াত প্রদীপ বাবুর। নবগঠিত পুরসভা চালাতে তাঁর কেমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে এ নিয়ে প্রদীপ বাবু বলেন, ”নতুন পুরসভা চালাতে গিয়ে প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সবার চাওয়া-পাওয়ার প্রত্যাশা তো রয়েইছে। পাশাপাশি সেই সব সমস্যার সমাধানের রুপ রেখা তৈরি করবার সাথে সাথে পুরবাসিদের নতুন করে একটা ঝকঝকে শহর উপহার দেওয়ার পরিকল্পনাও ছকে নিতে হচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্সের সমস্যা আছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্যে জমি খুঁজতে হচ্ছে। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে সব সামলাতে হবে।”সাইকেলে চেপে নিত্যদিন প্রদীপ মুহুরির পুরসভাতে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরাও। ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, ”একেবারেই নতুন পুরসভায় আর্থিক বরাদ্দই আসেনি। ফলে সঠিক পথই বেছে নিয়েছেন ফালাকাটার প্রথম চেয়ারম্যান। এখন লক্ষ্য রাখতে হবে, শহরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে কতটা সফল হন তিনি।” এ নিয়ে ডিওয়াইএফআাইয়ের জেলা সভাপতি ও শহরের বাসিন্দা বাপন গোপ বলেন, ”বিষয়টি নিশ্চয়ই তারিফের দাবি রাখে। তবে কতদিন তিনি ওই পথে চলেন, সেই দিকে আমাদের নজর থাকবে।”