নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): বাঁ পায়ে চোট মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁকে ১০ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রবিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে তাঁর একাধিক পরীক্ষা হয়েছে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর। এমআরআই-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের একটাই পরামর্শ, আপাতত ১০ দিন বিশ্রামে (Rest) থাকুন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অস্ত্রোপচার নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তাঁর হাঁটাচলার উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর স্বাভাবিক চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। ঘটনাচক্রে, তার মধ্যেই দিল্লিতে তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। ২ অক্টোবর, গান্ধীজয়ন্তীতে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রাজঘাটে প্রার্থনা এবং পরের দিন ধর্নায় বসতে চলেছে বাংলার শাসকদল। ওই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মমতা এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পায়ের চোটের কারণে মমতাকে চিকিৎসকেরা বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। অর্থাৎ, রাজধানীর কর্মসূচিতে অনিশ্চিত তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী। সে ক্ষেত্রে, রাজঘাটে তৃণমূলে্র ধর্না আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে ‘তৃণমূলের সেনাপতি’ অভিষেককে।
এ বছরের মাঝামাঝি সময় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কপ্টারের এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময়ে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে চান। বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে নিয়মিত চলছিল ফিজিওথেরাপি।খানিকটা সুস্থ হয়ে পরবর্তীতে ফের কাজে নামলেও পুরনো চোট ছেড়ে যায়নি।
সম্প্রতি স্পেন সফরে গিয়েও সামান্য চোট পেয়েছিলেন বাঁ পায়ে। এরপর ১২ দিনের বিদেশ সফর সেরে শনিবার কলকাতায় ফিরে রবিবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নং কেবিনে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে নানা পরীক্ষা হয়। এমআরআইও করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য়সচিব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্তারা। এদিন সাড়ে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম থেকে বেরনোর সময় গাড়িতে উঠতে একটু কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। সবাই মিলে তাঁকে ধরে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করেন।