নিজস্ব প্রতিনিধি(দেবযানী):.বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় বাঙালি সংগীত পরিচালক তথা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। বয়স হয়েছিল ৬৯। দীর্ঘ একমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত বছর করোনা আক্রান্তও হন তিনি। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। ২৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীর কিছুটা সুস্থ হওয়ায় সোমবার তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ফের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বাপ্পি লাহিড়ির শেষকৃত্যে বলিউডের বহু নামি দামি ব্যক্তিত্বকে দেখা গেলেও, দেখা পাওয়া যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীর। কেন প্রিয় বন্ধুর শেষকৃত্যে যোগ দেননি তিনি? সম্প্রতি সেই বিষয়ে নিয়ে মুখ খুললেন মিঠুন স্বয়ং।আশির দশকে বাপ্পি-মিঠুন জুটি ছিল এককথায় সুপারহিট। পর্দায় বাপ্পির মনমাতানো সুরের যোগ্য সঙ্গত করত মিঠুনের জমজমাট নাচ। বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন এই জুটি। পর্দার বাইরেও দারুণ বন্ধু ছিলেন তাঁরা। আশির দশকে যে সম্পূর্ণ অন্য ধারার নাচ বলিপাড়ায় আমদানি করেছিলেন মিঠুন, তা ভীষণ ভালোভাবে বুঝেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথা নিজেই জানান ‘মহাগুরু’। প্রয়াত শিল্পীর বিষয়ে বলতে গিয়ে মিঠুন আরও বলেছেন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে আড্ডা চলেছে বহুদিন। মিঠুন তখন বেঙ্গালুরুতে যখন তিনি বাপ্পির মৃত্যুর খবরে পেয়েছিলেন। তবে কেন ছুটে আসেননি তিনি?বর্ষীয়ান এই বলি-অভিনেতা জানিয়েছেন,‘বাপিদা’র নিথর দেহ দেখার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। এভাবে বন্ধুকে দেখতেও চাননি। তাঁর হাসিমুখটাই মনে রাখতে চেয়েছেন। সেই কারণেই বাপি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে যোগ দেননি মিঠুন চক্রবর্তী। তবে মিঠুন যে তাঁকে ভীষণ মিস করবেন, সে কথাও জানাতে ভোলেননি তিনি।নিষ্প্রাণ বাপ্পি দাকে আমি দেখতে চাইনি। যেভাবে আমি তাঁকে চিনতাম, সেভাবেই মনে রাখতে চাই। এই বাপ্পি দাকে আমি চিনতে চাইনি। প্যান্ডেমিকের সময় আমার বাবা যখন চলে গেলেন, তাঁকেও আমি ওরকমভাবে দেখতে চাইনি। তাই আসিনি।