বালুরঘাট ঃ মুর্তি নয় ঠাকুরের স্থানে ভগবান জ্ঞানে পুজো হয়ে থাকে মানুষের। শতাব্দী প্রাচীন গুদ্রি কালির পুজো ধুমধামের সাথে উদযাপিত হয়ে আসছে বালুরঘাট শহরের খিদিরপুরে।শুধু পুজোই নয় এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় বসে বিরাট মেলা। যা গুদ্রি কালি মেলা বলেই পরিচিত।বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর এলাকার নোয়াপাড়ায় এই একদিবসিয় গুদ্রি কালি পুজোকে ঘিরে স্থানিও মানুষজনদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও আদতে এই পুজো শুরু হয় প্রত্যেক বছর চৈত্র মাসের দ্বীতিয় সপ্তাহে।এই পুজোকে ঘিরে চলে আসা মিথ অনুযায়ী প্রত্যেক বছর এই চৈত্রের দ্বীতিয় সপ্তাহের মংগলবার দিন গুদ্রি কালি মায়ের স্থানে উপোস করে স্নান সেরে ভক্তজন মায়ের পুজোর ” ঘট ” বসিয়ে মাকে আহবান করে পুজো শুরু করা হয়। কিন্তু দ্বীতিয় সপ্তাহের মংগলবার ঘট বসিয়ে পুজো শুরু হলেও তৃতীয় সপ্তাহের মংগলবার দিন এই পুজোকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় এক দিবসিয় মেলা। যা গুদ্রি কালি মায়ের মেলা নামেই বিখ্যাত।গ্রাম বাংলায় অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা দেব দেবীর পুজোর কথা ও সেই পুজোকে ঘিরে নানান মাহাত্মে ভরা চলে আসা কাহিনী আজ ও সমান ভাবে ভক্তজনদের কাছে সমাদৃত ও পুজিত হয়ে আসছে। সেরকম এক দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকার গুদ্রি কালির পুজো। যেখানে ভগবানের স্থানে দেবীর মুর্তি স্থাপন না করে ভগবান জ্ঞানে পুজো করা হয় রক্ত মাংসে গড়া মানুষকে রুপে। আর তাকে ঘিরেই চলে গুদ্রি কালির পুজো ও মেলা।আর এই পুজোকে ঘিরেই বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকার নোয়াপাড়ার এই পুজোতে ঢল নামে ভক্তজনদের।পুজো ও মেলা শেষে ভক্তজনরা তাকিয়ে থাকে আসছে বছর আবার হবে এই আশায়