নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়)টানা ২০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার ভোর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে ইডি। শুক্রবারই মন্ত্রীকে আদালতে তোলে ইডি। আদালত ১০ দিনের ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেয় মন্ত্রীকে। এরপরই আদালত কক্ষেই অসুস্থ হয়ে পরেন জ্যোতিপ্রিয়। অসুস্থ মন্ত্রীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বিচারকের বাতানুকূল ঘরে। আদালত চত্বরে ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে মন্ত্রীকন্যার উপস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসা চলছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এদিকে বালুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শুক্রবার ভোরে তাঁকে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে ইডি। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। তার পরে হাসপাতাল থেকেই সরাসরি নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। আদালত মন্ত্রীকে ১০ দিনের ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই আদালতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রীর কাছে ছুটে যান তাঁর কন্যা। মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বমিও করেন। সেই সময়ই আদালত চত্বরে ‘শেম অন ইডি’ বলে স্লোগান দেন মন্ত্রীর অনুগামীরা।
এরপরই মন্ত্রীকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। বাতানুকুল অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এই হাসপাতালেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও ইডির দুই আধিকারিক। কোর্ট জানিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বইতে হবে মন্ত্রীর পরিবারকেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এমআরআই করা হয় জ্যোতিপ্রিয়ের। স্ক্যান করারও পরিকল্পনা রয়েছে। সব পরীক্ষার পর মন্ত্রীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় চিকিৎসকদের পরামর্শে।