মালদা ঃ একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গে অপর দিকে রামপুরহাট কান্ডের জের এখন পর্যন্ত কাটেনি। তার মধ্যেই আবার শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল আবার প্রকাশ্যে। অবাদে ঘর বাড়িতে লুটপাট বাড়ি ভাঙ্গচুর। এলাকা দখল ও ভাগ বাটোয়ারা কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামলার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ালো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতনগর এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দৌলতনগর এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছায় চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মন্ডল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস। শাসকদলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ সানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজীব ও তার দলবলের সঙ্গে বর্তমান সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু যাদব এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ সামায়ুনের দলবলেরয মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। আর তাতেই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এই হামলার ঘটনায় কোন রকম হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই হামলার ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ টহলদারি শুরু হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্প্রতি অনাস্থার মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজিবকে অপসারিত করা হয়। নতুন প্রধান হয় তৃণমূলের পিন্টু যাদব। আর সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এই হামলা। আর তাতেই ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়ি এবং রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তেতে উঠল এলাকা।