নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়):বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির কারণে বাড়ছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সবজি নিয়ে যাওয়ার খরচ বেড়েছে। সেই কারণে আকাশছোঁয়া হয়েছে সবজি, ফলের দাম। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে সবজি ও ফল পৌঁছে দিতে সুফল বাংলার মাধ্যমে আরও পরিষেবা বৃদ্ধির কথা বললেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের সুফল বাংলা স্টল চালু আছে। বাজার দরের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে সুফল বাংলায়। রাজ্যে ৩৩২টি সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। ৩৩২টি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ সুফল বাংলার স্টল তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জিনিসের দাম এত বেড়েছে, যেন রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে, হাতের থেকে সবকিছু যেন বেরিয়ে যাচ্ছে। রোগের কারণে আলুর উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমতে পারে। দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে হবে।জ্বালানির মূল্যবৃ্দ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, “আমাদের জিএসটির টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের টাকা নেই। মানুষকে রেহাই দেওয়ার জন্য আলু সহ একাধিক সবজি ও ফল দেওয়ার জন্য ৩৩২টি সুফল বাংলার আউটলেট খুলেছে সরকার। সব সবজি অনেক কম দামে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। আগামী দিনেও আমরা এটা করব।” সুফল বাংলায় কতটা কমে সবজি পাওয়া যাবে তারও একটি তালিকা পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী।▪আলু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ২২ টাকায়, এখন তা ১৮ টাকা কেজি।▪নাসিকের পিঁয়াজ ২২ টাকা, সুফল বাংলায় পাওয়া যাবে ২০ টাকা কেজিতে।▪সুখসাগর পিঁয়াজ বাজারে ২০ টাকা কেজি, সেটা মিলবে ১৫ টাকা কেজিতে।▪কলা ডজনপ্রতি ২৫ টাকায় মিলবে, বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যায়।▪সুফল বাংলায় তরমুজ ২৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাবে।▪লাউ এখন ৩৫ টাকার বদলে ২২ টাকায় পাওয়া যাবে।▪ফুলকপি ৩৫ টাকা থেকে ২২ টাকায় পাওয়া যাবে।▪আদা-রসুন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে পাওয়া যাবে বাজারের তুলনায়।রাজ্যে একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে। এদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল”। গত নভেম্বর মাস থেকে পেট্রল ডিজেলের দাম স্থির ছিল। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বাড়তে থাকে পেট্রল ডিজেলের দাম। পরপর ১৫ দিনে ১৬ বার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় এবার বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তারই চেষ্টা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।