নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): ৩১ ডিসেম্বরের ডেডলাইন শেষ হতে আর একদিন বাকি! রাজ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেস কি হাত ধরাধরি করে চলবে? সম্ভাবনার চিত্রটা আবছা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলে দিয়েছেন, ‘ দেশে ইন্ডিয়া লড়বে, বাংলায় তৃণমূল লড়বে।’ সেক্ষেত্রে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা এই ভবিষ্যদ্বাণী থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।
শনিবার তাতে আলাদা মাত্রা যোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কী বললেন অধীর?
অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন জানান, ‘তৃণমূল বলে দিয়েছে, দেশে তাঁরা আছে, রাজ্যে নয়। সুতরাং, এগুলি নিয়ে কিছু যায় আসে না আমাদের। আমাদের সঙ্গে কে এল, গেল তার আমরা ধার ধারি না। আমরা আমাদের মতো লড়বো।’ অধীর চৌধুরীর কথা থেকে স্পষ্ট, লোকসভায় তৃণমূলের সঙ্গে এক ছাতার তলায় চলতে তাঁরা কোনওভাবেই আগ্রহী নন।
তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতায় না:-
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন সমঝোতা নিয়ে একপ্রস্থ কথা হলেও রাজ্যে দুটির বেশি আসন দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস অন্ততপক্ষে ছয়টি আসন নিয়ে দর কষাকষি করতে উদগ্রীব। এমত অবস্থায় তৃণমূলের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস কোনওভাবেই এক রাস্তায় চলতে রাজি নয় বলেই ব্যাখ্যা দেন অধীর।
জোট ভঙ্গ হওয়ার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে অধীর এদিন বলেন, ‘ জোটের সম্ভাবনা তো নিজেই দিদি নষ্ট করে দিয়েছে। ওঁর কথা শুনলে বুঝতেই পারবেন, নিজেরাই জোট চায় না। কারণ জোট করতে চাইলে তাঁর অসুবিধা আছে। কিন্তু এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার আসন, রায়গঞ্জ ছাড়াও দার্জিলিং আসনে লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা। ফলস্বরূপ, কিছুদিন আগেই বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী। সেক্ষেত্রে তৃণমূল যে এই আসনগুলি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে না, সে ব্যাপারে আগেই জানতো কংগ্রেস। ফলত, ইন্ডিয়া জোট সমীকরণকে ব্যতি রেখে বাংলায় যে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল ও কংগ্রেস মুখ ঘুরিয়ে লড়বে সে সম্ভাবনাই আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর কয়েকদিনের মধ্যেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে রাজ্যবাসীর কাছে।