নিজস্ব সংবাদদাতা সম্পা :সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত তার অন্যতম শেষ ছবি “হারায়ে খুঁজি তারে” আর পাঁচটা প্রেম কাহিনীর থেকে যে আলাদা সেটা বিরতির আগেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে টানটান কাহিনী আর জোরালো সংলাপ দর্শককে শেষ অবধি বসিয়ে রাখে তাদের আসনে। নিজের লেখা মূল কাহিনী নিয়ে ছবিটি পরিচালনা করেছেন সমর কুমার রায়।আর এ কাজে তাকে যোগ্য সঙ্গত করেছেন চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য্য।দুই বন্ধু নিলাভ্র (চ্ন্দ্রনিভ) ও আবীর(সপ্তর্ষি) থিয়েটার গ্রুপের অভিনেতা। তাদের দলের নতুন প্রযোজনার জন্য দলে এসে যোগদান করে আবিরের বাল্য বন্ধু শ্রীপর্ণা(দেবলীনা কুমার)।ব্যারিস্টার আনন্দ মোহনের(সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) নাতি আবীর শ্রীপর্ণাকে তার ভালোবাসার কথা বলতে না পারলেও নিলাভ্র কিন্তু শ্রীপর্ণাকে ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধে ফেলে। তার বাবা(বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী) ও মায়ের(সান্ত্বনা বসু)র চাপে নিলাভ্র বাধ্য হয় উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে। আর এখন থেকেই গল্পে আসে নাটকীয় মোড় যা শেষ পর্যন্ত দর্শককে বসিয়ে রাখে তাদের আসনে। সজল কুমার মুখার্জীর সুরে বিনোদ রাঠোর ও রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া দুটি গান মনে দোলা দিয়ে যায়। সম্পাদনায় অভিজিৎ পোদ্দার যথেষ্ট মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। পরিচালক হিসেবে সমর বাবু আগামীতে আরো ভালো কিছু করার সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখলেন। তবে কিছু বিষয়ে আরেকটু নজর দিলে ভালো হতো। ফ্ল্যাশব্যাকের ব্যবহার আরেকটু কম হলে ভালো হতো। আর লোকেশন নির্বাচনে আরেকটু যত্নবান হওয়া দরকার ছিল।