HomeOtherএই সময়কার অন্যতম জনপ্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক"- এর একগুচ্ছ কবিতা

এই সময়কার অন্যতম জনপ্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক”- এর একগুচ্ছ কবিতা

- Advertisement -

_________________________
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক”- এর কবিতা
________________________
মেঘ পালক ও বৃষ্টি ধ্বনি
_________________________

চোখ বিছিয়ে অন্তর্হিত ; হাত এগিয়ে যেইনা ধরতে যাব , স্বপ্ন যেন সাদা পৃষ্ঠায় এ’ভাবেই কুপোকাত্ ! তবুও যেন এই ঘুমন্তে শ্রবণ দেখা ; নেহাতি হাজার কথার বর্ণিত আঁকিবুকি ,—-

আকাশটা ঠিক আগের মতোই এক শারীরীক রঙ বদলে ঐতিহাসিক ! মনের ভেতর মন রাঙিয়ে আনন্দে ডুবু-ডুবু ,—-
আকাশটা সে-ই পদ্য পাড়ায় ইচ্ছে করেই বুক পেতেছে সোহাগ দিতে আমার কাছে ! ও-ই আকাশের সুদূর থেকে বৃষ্টি ঝরে একই ধারায় ; হঠাৎ যেন কি হচ্ছিল সেই ধ্বনিতে মন ডুবিয়ে এই আমিটার অতলান্তে !

মেঘ পালকে ভাসছি আমি ; অতীত এবং ভবিষ্যতে ! অন্য কোন ইচ্ছা গুলো ভরদুপুরে তোর এঁকেছে জ্যোৎস্না শরীর , এই জন্যেই ভেতরশুদ্ধ ঋণী রইলাম প্রিয়ংবদা ; সবটুকুই পাগল আবেগে !
কতবারযে তোকে পেয়েছি মেঘ সরিয়ে ; গভীর থেকে স্বভাবতই এভাবে ঠিক মন পুড়েছে ,—– অসুখটা যে পরমুখোপেক্ষী ; এটাওতো আগে বুঝিনি !

বৃষ্টি বৃষ্টি চোখ খানি তোর ; বেশি বললে বিশ্বব্যাপী ! ওই চোখেতে সারা বছরই আমার কাছে আষাঢ় – শ্রাবণ ,—- যদিও ঠিক এই সময়ে বাতাস হতে ইচ্ছা করে ; একমাত্র তোর জন্যে প্রিয়ংবদা !

এইতো আমার ভিতরশুদ্ধ তুই ছাড়া কেউ নেই ,—– আমার যত দোষগুলোকে আকাশ তারায় গুণন্তি করে মিলিয়ে নিলাম ; হেয়ালী নয় , সত্যি বলছি প্রিয়ংবদা ! এবার আমায় ক্ষমা করে দে ; তোর শরীরে ভাসার জন্য পুণ্যবান হতে দে !

গোটা রাতটা আমার মতোই অর্ধেক অবিশ্বস্ত ; তবু আমায় ক্ষমা করিশ ঘুম হারানো নির্ঘুমেতে এমনি ভাবে ,—– মেঘ যেন সেই তেপান্তরে উড়তে উড়তে অনেকটা দূ-র প্রেম প্রবাহে ; অস্পষ্ট কুমারী ! এই ঘরেরই এই বিছানায় অহরাত্রি তোরই স্মৃতি ; কি করে যে ভুলতে পরি প্রিয়ংবদা ? বন্ধ চোখের ভেতর থেকে ক্রমাগত একই ধ্বনি ; সঙ্গী কিম্বা সহপাঠী ,—-

যদিও আমার এই চিঠিতে আসা যাওয়ার চেনা পথটা বৃষ্টির শব্দে শব্দে কি ভাবে যে দুঃস্বপ্নের ভেতর মুছে গেল ! একমাত্র তুই সাক্ষী থাকলি ওরে পাগলী !!

_________________________
মৃত্যু বিগ্রহ
_________________________

সেদিনের সন্ধ্যায় শিলাবৃষ্টির ভেতর এই ঘরে প্রথম স্পর্শের ছোঁয়ায় আঁধার বিগ্রহের বুকে ফাঁটল দেখেছিলাম !
তুমি তোমার হাত এগিয়ে দিয়েছিলে ভালোবাসতে ,—- অথচ আজ হঠাৎ বাতাসে উড়ে গেল কবিতার খাতার শেষ তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতা ; নবনীতা !
কতদিন কেটেছে এভাবে তুমিহীন দহনে – পীড়ণে – দুঃখে ও জ্বালায় ,—– এই ঘরে স্বপ্নরা এসে খোঁজ নিয়ে গেছে ; আমি আর ফিরবো না কোন ভাবে !! মৃত্যু বিগ্রহ থেকে প্রেম উড়ে গেছে ভাবুক আকাশে …… তারপর !

_________________________
ক্যালেন্ডারে পঁচিশটা রাত
_________________________

একটু ঝুঁকেছি যেই ; ওধারে দেখান্দ্রিয়ের শুক্লা চতুর্দশীর কথা ঋতুগন্ধ ছড়ায় ! যদিও মন বেঁধে বেঁধে প্রায় শব্দহীন আমি , তবু পুজারীর আসোনের পাশে কোঁষাকুশি এভাবেই অবিবেচক নিরব ! পুজ্যপাদ প্রিয় পুরুষ প্রতিবিম্বের বিপরীতে নপুংশক ; অথচ সমবেত ইচ্ছাগুলো এর ভেতর মাথা ঠেলে উস্কানি দিতোই , যদি আমি নগ্ন হতাম ….. !

আমিতো অশারীরীক হয়েই স্মৃতি নির্ঘুম এবং প্রত্যন্তে নির্জন !

রোমকূপ থেকে জন্ম এক ঋষি কন্যা ; যার যোনিপদ্মের ঘ্রাণে ভূত – প্রেত – অপ্রমেও দেবতারাও প্রতিপলে হস্তমৈথুন করে কল ঘরে রোজ !

এভাবেই ক্যালেন্ডারে রাত ডুবে সকাল দেখা দিলে হৃদয় খুলে বেরিয়ে আসতে কিছুটা সময় হারিয়ে যায় ; প্রচীন শিক্ষক রতি মিলনের সিলেভাস নিয়ে ছোটে প্রিয়তমা ছাত্রীর দেহগন্ধ নিতে ছাদের রেলিং এর তারে ঝোলানো ছেঁড়া ফ্রকে !

এতোকাল চলেছে আমাকে নিয়ে খেলা ; বাসর ঘরে নগ্ন হবার ডাক আসে কাপুরুষের চোখের ভাষায় !

গভীরে বীজ পুঁতে দেয় আদেখা ঈশ্বরের নামে ; এর পর দশ মাস , দশ দিন ….. !

একটা জীবনেই নারী হয়ে ওঠা ! একটা শরীরে চলে মন পোড়া দহন !

এভাবেই পুরুষ পোকারা আমার রক্ত চোষে অতৃপ্ত রাতে – রাতে – রাতে এবং সূর্য ওঠার কিছু আগে !

বেঁচে আছি নিভৃতে এভাবেই ; খেলনা ঘরের পুতুল গুলো মুখস্ত মুদ্রার মতই অপাঠ্য হু-হু শূন্যতায় মাখা , তবুও স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে না আসার কঠিনতম নিপুন ব্যাকরণ ছোট থেকেই পুরুষের চোখের খিদে মেটায় !

বরং ওষধি স্বপ্নের ভেতর অনন্ত ভিখারি , আমরা সমস্ত যুগের নারীরা !
শরীর ও মন নিয়ে অবুঝ শিকারী ; পোশাকের ভেতর খোঁজে আমাদের নির্জন কঙ্কাল …… ! প্রতিদিন এই ঘরে বিষজ্বালায় পুড়ে উঠি ; আমাকেও আত্মঘাতী করে ভাসমান সময় ! আমাকেও প্রভূত কষ্টে নরক দেখাতে নিয়ে আসে যাবতীয় স্তব্ধতা ,
অথচ ওরাই অর্থাৎ পুরুষ দেহগুলো যোনিগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে প্রথম আমাদের মা বলে ডাকে !! তবু কত শত বছরের ক্যালেন্ডার স্বভাবতই এভাবেই বোবা হয়ে থাকে !!!

_________________________
দহন
_________________________

অন্য
কোথাও
আর্তনাদ হলে ; আমি ভেঙে
অতলান্তে চুড়মার হই !
এই
এক
অথৈ ভাসমান ভাবাবেগ ,
কিম্বা ভিন্ন জীবনের
অচেনা শব্দের
নিভৃত অভিমান !
তবু
ভিতরের বিরল আমিটার
ভেতর মাঝেমধ্যে
কিছু একটা পুড়ে ওঠার
গন্ধ পাই ;
হদয় মেলে দিতেই
অনুভবে মেলে
পুরোনো ভা-লো-বা-সা !!

_________________________
আকাশলীনা তোর জন্য
_________________________

যতোই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মত মিথ্যা বলতে পারবো না ,—- তিন সত্যি ! দিব্বি কাটছি !

এই ভাবে ঠিক মনের মধ্যে প্রতি মূহুর্ত আঁকতে আঁকতে গভীরে তোর লাবণ্যরেখা ; এরপরেতে মেঘের দেহে হঠাৎ করে আচম্বিতে আগুন জ্বলে ওঠে , নতুন কেনা আয়না দিয়ে অঝর ধারায় শ্রাবণ নামে ছন্দ না মেনে ! ঠিক এভাবেই সে–ই আগের মতই দলবেঁধে বৃষ্টিরা সব একই সাথে নেমে আসে ভুবনডাঙায় ভরদুপুরে ! কি ; বিশ্বাস হ’চ্ছে না আকাশলীনা ?

শেষ সন্ধ্যায় চাঁদের আলো কী ভাসমান অসাবধানী ; তবুও যেন ভালো লাগা , মন্দ লাগা যাইনি ভোলা ! তোকে ছুঁয়ে বলছি ……

দুই হাতেতে হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টি আদোর ; হৃদয়পাড়ে যত্ন করে রাখাই ছিল সাতটা বছর ! এটা আমার সর্বকালিন সত্যি কথা ; তবুও আমি বুক বাজিয়ে বলতে পারি ,— তোর মত একটাও মিথ্যা বলতে পারবো না !

অন্ধকারকে বনের পথে খুঁজতে গিয়ে আকাশ আমায় হাত বারিয়ে দু চার মুঠো হীরের মতন জ্বল জ্বলে কত তারা দিল , বিনে পয়সায় !

এই যে আমার মনের মধ্যে সমুদ্র এসে সতত ঢেউ তোলে ; তবুও যেন তুমিশূন্য তুমিশূন্য এই বিছানা ,—- অবিবেচক প্রতিটা রাতে !

যদিও আমার স্বপ্ন থেকে নতুন একটা আকাশ ডাকে ; রূপকথারা সেই হরিণীর পেছন ছোটে মৃগনাভীর ব্যাকুলতায় !

হঠাৎ করেই অন্য একটা সময় এসে হাজির হলো ! এই তো আমার ঠোটের মধ্যে তোর আঁকা সেই প্রথম চুমু ; অটুট তবু স্মৃতিনির্জন ,—– তবু কেন এই এতক্ষণ তোরই জন্য অতল জুড়ে বৃষ্টি ভেজা সকাল – দুপুর – সারারাত্রি !
অন্য একটা দিনের মধ্যে সে–ই তোকে তাই গুছিয়ে রাখি ; স্বভাবদোষে !

বাতাসপরীর ডানার ঝাপট স্বপ্নে স্বপ্নে স্মৃতিনির্ভর ; অথচ কেন ভেতর থেকে ভুলতে চেয়েও যায়না ভোলা তোর দেওয়া সেই সর্তগুলো ! বহু দিনের কষ্টরা সব মিথ্যা মিথ্যা দগ্ধে মারে অতলান্ত ,—- শেষ পর্যন্ত এ’মন থেকে এতকালের বৃষ্টিগুলো বের করে দেই ; অথচ আমি অনেক চেষ্টায় না পারি যে তোকে ভুলতে , সত্যি বলছি আকাশলীনা !! তিন সত্যি , দিব্বি কাটলাম ……. !

_________________________
মৃত্যু বিগ্রহ
_________________________

সেদিনের সন্ধ্যায় শিলাবৃষ্টির ভেতর এই ঘরে প্রথম স্পর্শের ছোঁয়ায় আঁধার বিগ্রহের বুকে ফাঁটল দেখেছিলাম !
তুমি তোমার হাত এগিয়ে দিয়েছিলে ভালোবাসতে ,—- অথচ আজ হঠাৎ বাতাসে উড়ে গেল কবিতার খাতার শেষ তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতা ; নবনীতা !
কতদিন কেটেছে এভাবে তুমিহীন দহনে – পীড়ণে – দুঃখে ও জ্বালায় ,—– এই ঘরে স্বপ্নরা এসে খোঁজ নিয়ে গেছে ; আমি আর ফিরবো না কোন ভাবে !! মৃত্যু বিগ্রহ থেকে প্রেম উড়ে গেছে —-

_________________________
বেদ-ঈশ্বরীও ইতিকথা
_________________________

জল রঙের আকাশ
প্রাচীন মিশরের পিরামিড ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় , স্বপ্ন ছেঁড়া পেট কাটা রুগ্ন ঘুড়িটা ; বেমালুম পলাতক !
তবুও নিয়েছি চিনে গোটা বিশ্বের অন্তিম রেখা ,….. দূরে অন্য কোথাও আবিস্কারের গন্ধ স্বপ্নের ভিতর অহনিশ নির্ঘূম ৷

জল রঙের চোখ ; জীবন দেখেছে মৃত্যুর পর ! সেই এক দিন নিজের নামে শয়তান পুষেছে হাতের রেখায় ,….. কথা নষ্ট করে বেদ-ঈশ্বর ভাবুক আগুনে আঁকে সর্বনাশী এক নারীর শরীর ! তবু ঠিকানাহীন বেপাত্তা সেই ঘুড়িটা বেদ- ঈশ্বরীও’র সন্ধনে একা ও একক !!

_________________________
ক্যালেন্ডারে পঁচিশটা রাত
_________________________

একটু ঝুঁকেছি যেই ; ওধারে দেখান্দ্রিয়ের শুক্লা চতুর্দশীর কথা ঋতুগন্ধ ছড়ায় ! যদিও মন বেঁধে বেঁধে প্রায় শব্দহীন আমি , তবু পুজারীর আসোনের পাশে কোঁষাকুশি এভাবেই অবিবেচক নিরব ! পুজ্যপাদ প্রিয় পুরুষ প্রতিবিম্বের বিপরীতে নপুংশক ; অথচ সমবেত ইচ্ছাগুলো এর ভেতর মাথা ঠেলে উস্কানি দিতোই , যদি আমি নগ্ন হতাম ….. !

আমিতো অশারীরীক হয়েই স্মৃতি নির্ঘুম এবং প্রত্যন্তে নির্জন !

রোমকূপ থেকে জন্ম এক ঋষি কন্যা ; যার যোনিপদ্মের ঘ্রাণে ভূত – প্রেত – অপ্রমেও দেবতারাও প্রতিপলে হস্তমৈথুন করে কল ঘরে রোজ !

এভাবেই ক্যালেন্ডারে রাত ডুবে সকাল দেখা দিলে হৃদয় খুলে বেরিয়ে আসতে কিছুটা সময় হারিয়ে যায় ; প্রচীন শিক্ষক রতি মিলনের সিলেভাস নিয়ে ছোটে প্রিয়তমা ছাত্রীর দেহগন্ধ নিতে ছাদের রেলিং এর তারে ঝোলানো ছেঁড়া ফ্রকে !

এতোকাল চলেছে আমাকে নিয়ে খেলা ; বাসর ঘরে নগ্ন হবার ডাক আসে কাপুরুষের চোখের ভাষায় !

গভীরে বীজ পুঁতে দেয় আদেখা ঈশ্বরের নামে ; এর পর দশ মাস , দশ দিন ….. !

একটা জীবনেই নারী হয়ে ওঠা ! একটা শরীরে চলে মন পোড়া দহন !

এভাবেই পুরুষ পোকারা আমার রক্ত চোষে অতৃপ্ত রাতে – রাতে – রাতে এবং সূর্য ওঠার কিছু আগে !

বেঁচে আছি নিভৃতে এভাবেই ; খেলনা ঘরের পুতুল গুলো মুখস্ত মুদ্রার মতই অপাঠ্য হু-হু শূন্যতায় মাখা , তবুও স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে না আসার কঠিনতম নিপুন ব্যাকরণ ছোট থেকেই পুরুষের চোখের খিদে মেটায় !

বরং ওষধি স্বপ্নের ভেতর অনন্ত ভিখারি , আমরা সমস্ত যুগের নারীরা !
শরীর ও মন নিয়ে অবুঝ শিকারী ; পোশাকের ভেতর খোঁজে আমাদের নির্জন কঙ্কাল …… ! প্রতিদিন এই ঘরে বিষজ্বালায় পুড়ে উঠি ; আমাকেও আত্মঘাতী করে ভাসমান সময় ! আমাকেও প্রভূত কষ্টে নরক দেখাতে নিয়ে আসে যাবতীয় স্তব্ধতা ,
অথচ ওরাই অর্থাৎ পুরুষ দেহগুলো যোনিগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে প্রথম আমাদের মা বলে ডাকে !! তবু কত শত বছরের ক্যালেন্ডার স্বভাবতই এভাবেই বোবা হয়ে থাকে !!!

_________________________
দহন
_________________________

অন্য
কোথাও
আর্তনাদ হলে ; আমি ভেঙে
অতলান্তে চুড়মার হই !
এই
এক
অথৈ ভাসমান ভাবাবেগ ,
কিম্বা ভিন্ন জীবনের
অচেনা শব্দের
নিভৃত অভিমান !
তবু
ভিতরের বিরল আমিটার
ভেতর মাঝেমধ্যে
কিছু একটা পুড়ে ওঠার
গন্ধ পাই ;
হদয় মেলে দিতেই
অনুভবে মেলে
পুরোনো ভা-লো-বা-সা !!

_________________________
আকাশলীনা তোর জন্য
_________________________

যতোই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মত মিথ্যা বলতে পারবো না ,—- তিন সত্যি ! দিব্বি কাটছি !

এই ভাবে ঠিক মনের মধ্যে প্রতি মূহুর্ত আঁকতে আঁকতে গভীরে তোর লাবণ্যরেখা ; এরপরেতে মেঘের দেহে হঠাৎ করে আচম্বিতে আগুন জ্বলে ওঠে , নতুন কেনা আয়না দিয়ে অঝর ধারায় শ্রাবণ নামে ছন্দ না মেনে ! ঠিক এভাবেই সে–ই আগের মতই দলবেঁধে বৃষ্টিরা সব একই সাথে নেমে আসে ভুবনডাঙায় ভরদুপুরে ! কি ; বিশ্বাস হ’চ্ছে না আকাশলীনা ?

শেষ সন্ধ্যায় চাঁদের আলো কী ভাসমান অসাবধানী ; তবুও যেন ভালো লাগা , মন্দ লাগা যাইনি ভোলা ! তোকে ছুঁয়ে বলছি ……

দুই হাতেতে হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টি আদোর ; হৃদয়পাড়ে যত্ন করে রাখাই ছিল সাতটা বছর ! এটা আমার সর্বকালিন সত্যি কথা ; তবুও আমি বুক বাজিয়ে বলতে পারি ,— তোর মত একটাও মিথ্যা বলতে পারবো না !

অন্ধকারকে বনের পথে খুঁজতে গিয়ে আকাশ আমায় হাত বারিয়ে দু চার মুঠো হীরের মতন জ্বল জ্বলে কত তারা দিল , বিনে পয়সায় !

এই যে আমার মনের মধ্যে সমুদ্র এসে সতত ঢেউ তোলে ; তবুও যেন তুমিশূন্য তুমিশূন্য এই বিছানা ,—- অবিবেচক প্রতিটা রাতে !

যদিও আমার স্বপ্ন থেকে নতুন একটা আকাশ ডাকে ; রূপকথারা সেই হরিণীর পেছন ছোটে মৃগনাভীর ব্যাকুলতায় !

হঠাৎ করেই অন্য একটা সময় এসে হাজির হলো ! এই তো আমার ঠোটের মধ্যে তোর আঁকা সেই প্রথম চুমু ; অটুট তবু স্মৃতিনির্জন ,—– তবু কেন এই এতক্ষণ তোরই জন্য অতল জুড়ে বৃষ্টি ভেজা সকাল – দুপুর – সারারাত্রি !
অন্য একটা দিনের মধ্যে সে–ই তোকে তাই গুছিয়ে রাখি ; স্বভাবদোষে !

বাতাসপরীর ডানার ঝাপট স্বপ্নে স্বপ্নে স্মৃতিনির্ভর ; অথচ কেন ভেতর থেকে ভুলতে চেয়েও যায়না ভোলা তোর দেওয়া সেই সর্তগুলো ! বহু দিনের কষ্টরা সব মিথ্যা মিথ্যা দগ্ধে মারে অতলান্ত ,—- শেষ পর্যন্ত এ’মন থেকে এতকালের বৃষ্টিগুলো বের করে দেই ; অথচ আমি অনেক চেষ্টায় না পারি যে তোকে ভুলতে , সত্যি বলছি আকাশলীনা !! তিন সত্যি , দিব্বি কাটলাম ……. !

_________________________
দর্পণে পিপরীত মেরুকরণ
_________________________

অন্য দরজায় শয়তান এসে দাঁড়ালে অনুমানের ফর্দ ঝাপসা হয়ে যায় ! এটাও আমাদের অস্তিত্বের সংকট ; তা না হলে বিভিষণপ্রথম দল পালটানোর সাহস পায় !

মাঝেমধ্যে মোমবাতির নিচে অন্ধকার স্পষ্ট হয়ে ওঠে , তাই জ্যোৎস্না পেতে দিয়েছি প্রাচীন বৃক্ষের নিচে ,—– কেউ একজন মনস্তত্ত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষগুলোকে ঠকাচ্ছে সমষ্টির সমর্থন চরিতার্থ করার জন্য !

এভাবেই চলছে দুনিয়া ; যা কিছু পালটেছে সবটাই নড়বড়ে ঘড়ির কাঁটা ! এটাই নাকি ঐতিহাসিক বিপ্লব !! বাকিটা ঈশ্বর চিহ্ন দিয়ে আঁকা …….

_________________________
শব্দ পোকাদের দেহ মিছিল
_________________________

ফাঁদ পেতেছে চাঁদ
সে-ই অতিরিক্ত আকশে ; অন্য এক অজ্ঞাত শূন্যে নিছক ডাবলবেডে ,—– লালন প্রহর হয়তো কিছু রাত জল বিলাসি দর্পণ , গান গাওয়া ফেরিওয়ালা নির্জন নাবালক বাতাস নিয়ে যাচে !

ওধারে মেতেছে স্বপ্নবিরোধী কথাহীন অপটু সময় ; নষ্ট নিঃশ্বাস থেকে ক্লোরিয়াস ঢেউ , —- কেউ কেউ সারস্বত সৃজনে সিড়ি বেয়ে উঠে চলে যায় সমবেত তারাদের পাসে !

চেহারা লুকিয়ে অভ্যন্তরে আত্মহারা জিন্দা লাশেরা ! নীচে আরও তলায় বাইপাস দিয়ে হেঁটে চলে যায় কন্ফুসিয়াস প্রজাতির কিছু প্রচীন শয়তান ,—– শহরের শেষ সীমান্তে ভবঘুরে এক মাতাল “ওরে বিহঙ্গ , ওরে বিহঙ্গ মোর এখনি অন্ধ বন্ধ”— বলে চিৎকার করে ২৫ শে বৈশাখের স্তবগান করে ! এই ভাবে জ্বলছে সময় ; তবু ভষ্ম হয়ে ঝরে যায় মান-অভিমান , প্রীতি-সম্প্রীতি , অথবা অন্য পৃথিবীর নিহত ইতিহাস ! চোখেরে ভেতর থেকে ডেকে ওঠে ব্যর্থ কিছু পথ ; বিবর্ণ বৃষ্টিরা দিনরাত দলছুট হলে স্বরচিত স্বপ্নের মধ্যে আমিও ফেরার একজন !

সেই ; সেই যে কালনিসিন্দা গাছের নিচে নিখোঁজ হয়ে ধ্যান সমাধিতে কতকালের জীবন ছেড়ে যাওয়া আমার কঙ্কাল ; সেও চিরনিদ্রায় এভাবেই সাধক গম্ভীর !

রোজ এভাবেই আঁকি কতশত নারীর শরীর ,—- রোজ এই অতলান্তে ডুবে যেতে যেতে রাতটাকে মাখাই পীড়ণের জ্বালা !

হঠাৎ দুয়ার খুলে দেখি ঘুম হারানো আমার সর্বনাশ ,—– এইটুকু যদি ছুঁয়ে বেঁচে ওঠে ; শেষবার বৃষ্টিবিন্দুদের সাথে কথা বলি !

এই ঘুম মৃত্যুর দরজায় জেগে বসে আছে ; কিছু কিছু সুখ সমৃতিসঙ্গী , তবুও কবিতার আলো ঢেলে চাঁদ ভাসে অন্য বিছানায় !

এভাবেই পুণ্যবান হব ; এভাবেই নিজের শরীর থেকে ছায়া সরিয়ে রেখে সাদা পৃষ্ঠায় আঁকবো অন্তরীক্ষ্য ! কথা শেষ হলে চোখের পাতায় ভরে ছিঁড়ে যাওয়া প্রেমের স্মৃতি সোহাগ ,—–
গর্ভের ভেতর থেকে অন্য এক আমির ভবিষ্যৎ উকি মারে ….. !

শেষের কবিতা পড়ে কতশত ভূত-প্রেত ; কতশত রাতের মধ্যে বিছানায় নগ্ন হয়ে বসে থাকে বঙ্কিমের কপাল কুণ্ডলা !

_________________________
একমাত্র এই তুমিটার জন্য
_________________________

কিছু কী ফেলে আসতে হল ; মন ভর্তী অকেজো সংসার , হয়তো দূরের শহরের জনারণ্যের ভেতর এই তুমিটার একাকিত্ব ! শেষ ট্রেনটা দূ–রে চলে যেতে যেতে বিচ্ছেদের জ্বালায় পুড়ে ওঠে মন ; অন্য এক স্বপ্নের কথা স্মৃতির মধ্যে আজও অবসরে ভীষণ দারিদ্র !

কিছুটা দৃশ্যের ভেতর বাতাসে তোলে ঢেউ ; অচেনা সময় চোখের সামনে মেলে ধরে সন্ধিপত্র ,—– বাইরের আকাশে ভরে ওঠে প্রত্যন্ত জীবন ! সেখানে হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে যায় প্রথাগত শ্বাস – প্রশ্বাস ! অথচ এভাবেই উল্টো দর্পণে কারও কারও যান্ত্রিক ভাবে বেঁচে থাকার নির্জন বসবাস হয় !

বৃত্তের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পেয়েছে ; পুরোনো শহরের জীবন ,——

অন্য রকম ছদ্মবেশ নিয়ে কেউ কেউ অমাইক হেসে ওঠে ; অন্য কোন বুকের ভেতর !

এই তুমিটা একই পুড়ছিল নিভৃতে ; চোখের সামনে আপাতত আজীবনের দুঃখগুলো এভাবেই কোল পেতে বসে ছিল দুঃখভরাতুর !
এই তুমিতে পেরিয়ে এলো সারা বছর জুড়ে লেখা কবিতার পঙক্তি ও স্তবক ; দিনরাতের দীর্ঘ ইতিহাস ব্যক্তিগত ভাবে দরজার ওপাশে অনুভবজাত , তবুও বিষাদ হয়ে সত্যের পথে বৃষ্টির মতন ঝরে যায় চোখের জল !

আমিতো এভাবেই
বাঁকচোরা রাস্তার পাশে একা একা দাঁড়িয়ে সেই তুমিটাকে খুঁজছিলাম ;

তুমি তখন একলা একলা পুড়ছিলে শমশানে , —– তবু জটিল নিভৃতে কাঁদে অন্য এক আমি ; ভেতরে ভেতরে দিগ্বিদিক ভেসে যায় ! একা সেই অন্তর্গত পথে ট্রেনটা স্টেশন ছাড়িয়ে কোথায় মিলিয়ে যায় ; এরই মাঝে অন্তঃস্থলে প্রতিধ্বনি শুনি রাত শেষ হতে হতে !!

_________________________

writer

writer

RELATED ARTICLES
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments

AI Calculator

Calculate Facebook Earning and calculate EMI for loans, or compute GST.


This will close in 20 seconds