নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার):বলা যেতে পারে রাশিয়ার উপর এটি একটি বড় ধাক্কা। কারণ ইতিমধ্যেই আমেরিকার তরফ থেকে রাশিয়ার আমদানিকৃত জ্বালানি তেল গ্যাস সবকিছুর উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু আমেরিকা নয়, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরে, আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশ গুলি এই সিদ্ধান্তে অগ্রসর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘাত ১৩ দিনে অগ্রসর হয়েছে। রাশিয়ার হামলার পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, প্রায় সমস্ত দেশকে রাশিয়া থেকে আমদানি করা বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে এড়িয়ে গেলেও, রাশিয়ার অর্থনীতি যে একটা বড় ধাক্কা খাবে তা মনে করা হচ্ছে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে।মোটকথা জ্বালানি রপ্তানি করে রাশিয়া নিজেদের অর্থনীতি ঠিক রেখেছে, এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো, তাহলে আগামীতে খারাপ দিন দেখতে হবে রাশিয়ার এমনটাই মনে করছি বিশেষজ্ঞ দল।গতকাল মঙ্গলবার জো বাইডেন বলেন,আমেরিকা এখন আর রাশিয়া থেকে কোনো গ্যাস, জ্বালানি, তেল আমদানি করবে না। এতে রাশিয়ার আর্থিক ক্ষতি হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না,আমেরিকা যদি রাশিয়া থেকে এই সমস্ত কিছু আমদানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বাজারে তেল-গ্যাস জ্বালানির দাম অপেক্ষাকৃত দারুন বৃদ্ধি পাবে।যার ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই এক গ্যালন পেট্রোলের গড় দাম ৩২১.৭৩ টাকায় পৌঁছেছে। শোনা যাচ্ছে আমেরিকার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে ব্রিটিশ সরকারও।।