নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে উঠলো ৫০ উর্দ্ধে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি ও স্কুল ভাঙচুর চালান উত্তেজিত জনতা ।ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে চাকদহ থানার মদনপুর কালীগঞ্জ এলাকায়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে চাকদহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।ঘটনা সূত্রে জানাযায়, কালীগঞ্জ এলাকায় এক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ৫০ ঊর্ধ্বের এক শিক্ষক স্থানীয় বছর-দশেকের এক নাবালিকাকে গত চার পাঁচ দিন যাবত শ্লীলতাহানি করছে বলে অভিযোগ। বছর দশেকের ওই নাবালিকা তার মার কাছে এমনটাই জানিয়েছে বলে জানালেন নাবালিকার মা। নাবালিকার মা জানিয়েছেন গত চার পাঁচ দিন যাবত মেয়ে অস্বস্তি বোধ করছে জিজ্ঞাসা করতে মেয়ে জানায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের আর পড়তে যাবে না। তার ভালো লাগে না। কেন বিষয় জানতে গেলে নাবালিকা বলে পড়তে গেলেই শিক্ষক নানান অছিলায় তার গায়ে হাত দেন এবং শ্লীলতাহানি করে, অশ্লীন কথাও বলেন। জানতেই নাবালিকার মা শিক্ষককে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে লজ্জিত তিনি বলে ক্ষমা চান বলে অভিযোগ নাবালিকার মায়ের। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী নাবালিকার মায়ের কাছে এসে ওই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে লোক জানাজানি না করার জন্য অনুরোধ করেন বলেও জানান নাবালিকার মা।কিন্তু সন্ধের মধ্যে এ বিষয়ে লোক জানাজানি হতেই ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও তার পাশেই থাকা শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। সন্ধ্যের পর থেকে ঘন্টা দুয়েক ওই শিক্ষকের বাড়ি এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ভাঙচুর চালায় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাকদহ থানার পুলিশ। তাতেও জনরোষ আটকানো যায়নি। পুলিশের সামনেই চলে ভাঙচুর। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে চাকদহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। আরো ঘন্টা দুয়েকের প্রচেষ্টায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। শিক্ষককে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায় জনতা। জনরোষে ভাঙা পরে পুলিশের গাড়ির কাঁচ। এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকদহ থানা অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। পাশাপাশি এই ভাঙচুর চালানোর অপরাধে স্থানীয় চারজনকে বুধবার রাতে আটক করে চাকদহ থানা।