নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): ন’ জন বাংলাদেশের নাগরিককে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছেন ভারত।এই কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।পাশাপাশি তিউনিশিয়া, নেপাল এবং পাকিস্তানের পড়ুয়াকেও ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছে।ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ‘অপারেশন গঙ্গা’–এর অধীনে এক নেপালি নাগরিককেও ইউক্রেন থেকে বিমানে চাপিয়ে দিল্লি ফেরানো হয়। ওই ছাত্রের নাম রোশন ঝা। তিনিও ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরে কাঠমাণ্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, আরও সাত জন নেপালের নাগরিককে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছে ভারত।এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে নিজের দেশের ১৮ হাজার নাগরিককে উদ্ধার করেছে ভারত। উত্তর–পূর্ব ইউক্রেনের সুমিতে আটকে ছিলেন প্রায় ৭০০ ভারতীয়। লাগাতার সেখানে রুশ সেনা আক্রমণ চালানোয় উদ্ধার কাজ আটকে ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সেখান থেকে ৬৯৪ জনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় দূত।অন্যদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ জন নাবিক ফিরলেন ঢাকায়। বুধবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছন তাঁরা। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তাঁরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন।গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই জাহাজের ২৯ জন নাবিক ইউক্রেনের অলভিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছন। ইউক্রেন থেকে সেরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইটালিতে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি জাহাজটি। ইতিমধ্যেই গত ২ মার্চ ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। তাতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান প্রাণ হারান। পরদিন অর্থাৎ ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজ থেকে ২৮ জন নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাঁদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নাবিকরাই বুধবার ইউক্রেন থেকে ঢাকায় ফেরেন।